November 22, 2024, 5:58 am
এস.এম.শামীম রানা/
সরকারি নির্দেশনা মেনে এবার খোলা মাঠে ঈদগাহে হবে না কোন ঈদের জামাত। কুষ্টিয়ার সকল মসজিদের প্রথম ঈদের জামাত শুরু হবে সকাল ৭.৩০ মিনিটে এরপর ৪৫ মিনিট পর পর আরো দুটি জামাত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসক আসলঅম হোসেন এর নেতৃত্বে কমিটি।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকটের কারনে ঈদের জামাত মসজিদে করার বিষয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক আসলাম হোেেসন এর সভাপতিত্বে ঈদের জামাত সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় বলে জানা গেছে।
সভায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাঃ ওবায়দুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শামসুল হকসহ আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় করোনা ভাইরাসের কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় নিজ নিজ এলাকার মসজিদে শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিটি মসজিদে কমপক্ষে ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে স্ব স্ব মসিজদ কমিটির সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে সভায় জানান।
পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় জামাত সোয়া ৮ টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ৯টায় করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। ৩টি জামাতে ৩ জন ইমামকে নিয়োজিত করে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার ব্যাপারে মুসল্লীদের নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখার আহবান জানানো হয়। এছাড়া মসজিদে ঈদের নামাজে আসার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করে নিজ নিজ জায়নামাজ সাথে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়াও সরকারি ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মসজিদে সংরক্ষিত টুপি ব্যবহার না করা, প্রতিটি জামাতের পূর্বে মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিস্কার করা, মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মুসল্লিগণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানি দ্বারা হাত ধৌত করনের ব্যবস্থা করা, প্রত্যেককে নিজ নিজ বাস থেকে ওজু করে আসা, নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ৩ ফুট দুরত্বে দাঁড়ানো, এক কাতার বাদ দিয়ে জামাতে দাড়িয়ে নামাজ আদায়, শিশু-বয়োবৃদ্ধ, কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি, অসুস্থ্যদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Leave a Reply